নিজেস্ব প্রতিবেদক | দক্ষিণ আফ্রিকা: দক্ষিণ আফ্রিকায় অর্থের বিনিময়ে দুই কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশী ও ঐ কিশোরীর মায়ের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছে আদালত।

গতকাল শুক্রবার দেশটির ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের পোর্ট ভিউপোর্ট সংলগ্ন কেইস্কামমাহোয়েক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মেয়ের মা ও অপর দুই বাংলাদেশীর জামিন আবেদন বাতিল করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়,২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ইস্টার্ন কেপ প্রদেশর কেইস্কামমাহোয়েক এলাকায় যৌন কেলেংকারীর এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে।এই সময় স্হানীয় এক কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা তার ১৩ বছরের এক মেয়ে ও ১৬ বছরের একজন ভাতিজিকে স্হানীয় মূদ্রা ৪০০ রেন্ডর বিনিময়ে তানভীর রহমান তীরু ও মোহাম্মদ রাজু নামে দুইজন বাংলাদেশীর কাছে বিক্রি করে।

তানভীর ও রাজু তাদের যৌন চাহিদা মিটানোর জন্য ৪০০ রেন্ড অগ্রীম পরিশোধ করে ঐ দুই কিশোরীকে খরিদ করে।পরিকল্পনা অনুযায়ী মেয়ের মা তার কিশোরী মেয়ে ও ভাতিজিকে তানভীর ও রাজুর দোকানে সুইট ক্রয় করতে পাঠালে দুই কিশোরীকে তারা দোকানের পিছনে নিয়ে কৌশলে যৌন মিলন করে।এই সময় কিশোরীদের চিৎকারে স্হানীয় লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে তানভীর ও রাজুকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

পরে পুলিশ ধর্ষনের মামলা দায়ের করলেও তদন্তে বেরিয়ে আসে মা তার মেয়ে ও ভাতিজিকে ৪০০ রেন্ডের বিনিময়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বাংলাদেশী নাগরিকদের কাছে বিক্রি করে।পরে পুলিশ মাকেও গ্রেপ্তার করে।বর্তমানে উভয়ে কারাগারে রয়েছেন।

ন্যাশনাল প্রসিকিউটিং অথরিটি (এনপিএ) বলেছে,দীর্ঘ আড়াই বছর মামলাটি তদন্ত করে দুই বাংলাদেশী নাগরিক সহ কিশোরীর মাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে গতকাল শুক্রবার।

এই সময় আসামী পক্ষের আইনজীবী অভিযুক্ত তিনজন আসামীর জামিন আবেদন করলে আদালত তা বাতিল করে।আদালত মার বিরুদ্ধে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে এবং নাবালিকা ভাতিজিকে অর্থের বিনিময়ে দুই বাংলাদেশীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ এনে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে আসামীদের প্রত্যেকের ২২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়ার আবেদন করে।

আদালত আরো বলেছে,মামলার চুড়ান্ত রায়ের আগে দুই বাংলাদেশী নাগরিকদের জামিন দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। কারণ জামিন পাওয়ার পর তারা নিজ দেশে চলে যাওয়ার আশংকা আছে।আর মাকে জামিন দেওয়া হবেনা কারণ মা জেল থেকে বের হয়ে অভিযুক্ত বাংলাদেশীদের বন্ধু বান্ধব ও সাক্ষীদের সাথে হাত মিলাতে পারে।

উল্লেখ্য অভিযুক্ত দুই বাংলাদেশী মোহাম্মদ রাজু একজন ওয়েল্ডার হিসেবে কাজ করতেন এবং তানভীর রহমান স্থানীয় একটি দোকানে বিক্রয় সহকারী হিসাবে কাজ করতেন। তবে তাদের দেশের বাড়ি কোথায় তা জানা যায়নি।